[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

হেস্টিংসের শাসন তান্ত্রিক সংস্কার ও অযোধ্যা নীতি || এইচএসসি ও পলিটেকনিক

হেস্টিংসের শাসন তান্ত্রিক সংস্কার ও অযোধ্যা নীতি ক্লাসটি এইচএসসি [ HSC ] তথা একাদশ শ্রেণী [ Class 11 ] এবং দ্বাদশ শ্রেণী [ Class 12 ] এর ইতিহাস [ History ] বিষয় এর, ১ম অধ্যায়ের [ Chapter 1 ] পাঠ।

 

হেস্টিংসের শাসন তান্ত্রিক সংস্কার ও অযোধ্যা নীতি

 

হেস্টিংসের সমস্যা :
বাংলা ও দক্ষিণ ভারতের এক বিরাট অংশে কোম্পানীর আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলেও এইসব স্থানে দীর্ঘদিন কোন সুশাসন প্রবর্তিত হয়নি। কোম্পানীর দেওয়ানী লাভের পর বাংলায় যে দ্বৈত শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তার ফলে বাংলার জনজীবনে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সৃষ্টি হয়। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের ফলে সারা বাংলা শ্মশানে পরিণত হয়। এই অবস্থায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে ওয়ারেন হেস্টিংস বাংলার গভর্নর এবং পরে (অক্টোবর, ১৭৭৪ খ্রিঃ) গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন।

 

হেস্টিংসের শাসন

 

তাঁর প্রতি কোম্পানীর পরিচালক সভার নির্দেশ ছিল যে, কোম্পানী যেন সরাসরি বাংলার শাসনভার গ্রহণ করে। এইভাবে তাঁর হাতে এক নতুন ধরনের সরকার গঠনের ভিত্তি রচিত হয় (“… the foundations of a new system of government were laid. -History of the Freedom Movement in India, Vol. I, Tara Chand, P. 242.)।

সুশাসক :
ক্লাইভ বাংলাদেশে কোম্পানীর রাজত্বের যে সূচনা করেছিলেন, দক্ষ প্রশাসক ওয়ারেন হেস্টিংস তাকে দৃঢ় ভিত্তি দেন। ঐতিহাসিক পার্সিভ্যাল স্পীয়ার ক্লাইভ ও ওয়ারেন হেস্টিংসের তুলনা করে বলেন যে, “বিজেতা হিসেবে বড় হলেও, বিজিত দেশে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রবর্তনের যোগ্যতা ক্লাইভের ছিল না। এ কাজে তাঁর পরবর্তী উত্তরাধিকারী অনেক বেশি দৃঢ়তা ও বিজ্ঞতার পরিচয় দেন।”

তাঁর মতে, ওয়ারেন হেস্টিংস প্রশাসনিক স্থাপত্যের যে ভিত্তি স্থাপন করেন, অপরাপর প্রশাসকরা তার ওপর একটি বিশাল সৌধ নির্মাণে সক্ষম হন। (“He laid the foundation of the administrative structure upon which others were to rear a stately edifice.”)। ঐতিহাসিক আলফ্রেড লায়াল বলেন, যে, ”শাসন-সংক্রান্ত বিষয়ে হেস্টিংস তাঁর মৌলিক প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।”

প্রশাসনিক সংস্কার :
দ্বৈত শাসন লোপ : বাংলার শাসনভার হাতে পেয়ে প্রথমেই তিনি দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটান (এপ্রিল, ১৭৭২ খ্রিঃ) এবং রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব সরাসরি কোম্পানী গ্রহণ করে। নায়েব দেওয়ান রেজা খাঁ ও সিতাব রায় পদচ্যুত হন এবং এই পদ দু’টি বিলোপ করা হয়। বাংলার নবাবের বাৎসরিক ভাতা ৩২ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ লক্ষ টাকা করা হয়। সরকারি কোষাগার মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়।

 

google news logo

 

হেস্টিংসের শাসন তান্ত্রিক সংস্কার ও অযোধ্যা নীতি নিয়ে বিস্তারিত ঃ

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment