আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ শুক্কুর কারাগার। যা ” দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- এ এ কে নিয়াজি” বইয়ের অংশ।
শুক্কুর কারাগার
শুকুর কারাগার
কারাগারে আমাকে ক্যাটাগরি- এ’তে রাখা হয়। মীর আলী আহমেদ তালপুর ছাড়া অন্যান্য রাজনীতিকদের রাখা হয় ‘বি’ শ্রেণিতে। মীর আলী আমার মতো প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করেন। তিনি আমার পাশের পক্ষে থাকতেন। সব দলের নেতারাই ছিলেন কারাগারে।
এসব নেতার মধ্যে ছিলেন জেইউপি’র ফরিদুল হক, হাক্কানী সাহেব ও দোস্ত মোহাম্মদ ফায়েজী, জেইউআই’র মাওলানা আমরুতী, জামায়াতে ইসলামীর অধ্যাপক গফুর ও মাহমুদ আজম ফারুকী, তেহরিক ই ইশতেকলালের সালেহ মোহাম্মদ মান্ধখেল, জিয়ে সিন্ধের জনাব পালিয়ো ও আবু বকর জাবদারী ও মুসলিম লীগের বোস্তান আলী হোতি।
আমরা একসাথে আবার খেতাম এবং একসাথে নামায আদায় করতাম।জেইউপি’র মাওলানা হাক্কানী নামাজে ইমামতি করতেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহানজেব আরবার ছিলেন সিন্ধুর সামরিক আইন প্রশাসক।

একদিন শুনলাম তিনি কারাগার পরিদর্শনে আসছেন। কর্তৃপক্ষ তার পরিদর্শনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি জেলারকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি আরবাবের পরিদর্শনকে কীভাবে দেখছেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনাকে সত্য বলতে কি স্যার, এসব পরিদর্শন হচ্ছে খামোখা।
প্রকৃতপক্ষে, কয়েদী অথবা কারাগারের স্টাফদের ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। আমরা কারাগারে যেসব সামগ্রী তৈরি করি সেগুলোর ব্যাপারে তারা নির্দেশ দিতে আসেন। আমি তাকে বললাম, আপনি তাকে বলুন যে, আমি এখানে আছি এবং তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তাতে কী হবে?’ আমি জবাব দিলাম, ‘তিনি আসবেন না। কারণ, লুটতরাজ ও দুর্নীতির জন্য তাকে আমি পূর্ব পাকিস্তানে থেকে ফেরত পাঠিয়েছিলাম। আরবাবকে এ বার্তা জানানো হয় এবং তিনি কারাগার পরিদর্শনে তার কর্মসূচি বাতিল করেন।
আরও দেখুন: