[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

রাজাকারদের অস্ত্র

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ রাজাকারদের অস্ত্র। যা ” দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- এ এ কে নিয়াজি” বইয়ের অংশ।

রাজাকারদের অস্ত্র

 

রাজাকারদের অস্ত্র

 

রাজাকারদের অস্ত্র

যুদ্ধ ক্ষেত্রে যারা ছিলেন এবং যাদের সাথে রাজাকার ছিল তাদের প্রত্যেকেরই অভিমত ছিল যে, রাজাকার বাহিনীকে একটি সত্যিকার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদেরকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে সজ্জিত করতে হবে।

রাজাকারদের যেসব অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল, বিদ্রোহীদের অস্ত্রশস্ত্র ছিল সেগুলোর চেয়ে অনেক উন্নত। প্রতিটি রাজাকার প্লাটুনকে একটি করে হালকা মেশিনগান এবং একটি স্টেনগান দিতে হলে আমাদের কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০টি হালকা মেশিনগান ও সমপরিমাণ স্টেনগানের প্রয়োজন ছিল।

কিন্তু আমরা তাদেরকে মাত্র ২৭৫টি এলএমজি ও ৩৯০টি স্টেনগান দিতে পেরেছিলাম। এতে রাজাকারদের মনোবল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের এ মানসিকতার প্রকাশ ঘটে।

রাজাকাররা ধারণা করতে শুরু করে যে, তাদেরকে বিশ্বাস করতে না পারায় আমরা তাদের উন্নত অস্ত্রশস্ত্র দিচ্ছি না । ভারতীয় অপপ্রচার এবং স্থানীয় নেতিবাচক প্রভাবে তাদের এ ধারণা আরো বদ্ধনূল হয়।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং যথাযথভাবে ব্যভার করার উদ্দেশ্যে পশ্চিম পাকিস্তান পুলিশ ও অবাঙালি অন্যান্য বাহিণির সাথে রাজাকারদের মিশ্রিত করা হয়।

পরে অনেক রাজাকার তাদের অবস্থান ত্যাগ করে।অনেকে আবার যুদ্ধ চলাকালে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।পশ্চিম পাকিস্তানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে স্পেশাল ট্রেনিং টিম পাঠানোর জন্য জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে সুপারিশ করা হয়েছিল।

কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।রাজাকার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার। প্রদেশের প্রায় সব জেলাতে তাদের মোতায়েন করা হয়। এরা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জন করেছিল।

 

রাজাকারদের অস্ত্র

 

রাজাকার প্লাটুন ও কোম্পানি কমান্ডারদের প্রশিক্ষণ দানে ব্যাটল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এ বাহিনীকে একটি কার্যকর কমান্ড কাঠামো প্রদানে প্রায় ৬০ জন তরুণ অফিসারকে রাজাকার গ্রুপ কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দানের জন্য বাছাই করা হয়।

আরও দেখুন:

Leave a Comment