[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

 সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথের উন্নয়ন

আমাদের আজকের আলোচনা বিষয় –  সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথের উন্নয়ন। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল এর একটি অংশ।

 সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথের উন্নয়ন

 

 সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথের উন্নয়ন

 

  • আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছরে ১৫ হাজার ১২৮ কি.মি. সড়ক সম্পূর্ণ পাকা করা হয়, ৩৫ হাজার ৮০২ কিলোমিটার মাটির রাস্তা এবং ১৩৬৯ কি.মি. পথে ইট বিছানোর কাজ সম্পন্ন করা হয়।
  • এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৬,৫২৬ কি.মি. পাকা সড়ক ও ১০,৮৬৫ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করে। ২০০১/০২ অর্থবছরে ১,৯২৪ কি.মি. পাকা সড়ক ও ৫,৬৫৫ কি.মি. গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ এবং ৩,০৯৪টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করার বাজেট বরাদ্দ আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল।
  • ১৯ হাজার বৃহৎ, মাঝারি, ছোট সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি এই আমলেই ২০,৯৪৬ মিটার স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়।
  • ২০০১/০২ অর্থবছরে পাকশি সেতু নির্মাণের জন্য ১২০ কোটি টাকা, যমুনা সংযোগ সড়কের জন্য ২১০ কোটি টাকা, ধরলা সেতু নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকা, দোয়ারিকা সেতু নির্মাণের জন্য ৩০ কোটি টাকা, গাবখান সেতু নির্মাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা, রূপসা সেতুর জন্য ৪৫ কোটি টাকা, পদ্মা সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য ৩ কোটি ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেঘনা সেতুর জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।
  • ২০০১ সালের ২০ মে ১৪৭৯ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু স্থানীয় প্রযুক্তির ভিত্তিতে নির্মাণ করা হয়।
  • পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর জাপানি সহায়তায় ৪১০.১৩ কোটি টাকা বায়ে শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা ।
  • মেঘনা নদীতে ভৈরব বাজারে ব্রিটিশ সহায়তায় ৪৫৩ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু নির্মাণের কাজ আওয়ামী লীগ সরকারই শুরু করেছিল।
  • সিলেট-জাফলং সড়ক উন্নয়নে সুরমা দ্বিতীয় সেতু এবং ভোলা-বরিশাল-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের নির্মাণ, কাজও এগিয়ে চলেছিল।
  • রেল ভ্রমণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও যাত্রী সেবার মানোন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং বিভিন্ন রেলপথ পরিচালনায় বেসরকারি সেক্টরকে সম্পৃক্ত করে সেবার মান উন্নত করা হয়।
  • ঢাকা ও অন্যান্য শহরের জন্য বিআরটিসি ২০০টি দ্বিতল বাস সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এসব বাস অনতিবিলম্বে ঢাকা ও রাজশাহী শহরে চলাচল শুরু করেছে।রাজধানী ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ, বেশ কিছু সড়ক সংযোগ স্থলের উন্নয়ন এবং কম্পিউটারাইজড ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা প্রবর্তনের কাজ হাতে নেয়া হয় ।
  • নৌ-পরিবহন খাতের উন্নয়নে ৩২টি প্রকল্পের কাজও চলতে থাকে।
  • চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট নিরসনের লক্ষ্যে সরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে নৌ- পরিবহন টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
  • স্থল থেকে পণ্য পরিবহনকে আকর্ষণীয় করার জন্য একটি স্বতন্ত্র স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠনের কাজ চলতে থাকে।
  • চট্টগ্রাম এম.এ. হান্নান বিমানবন্দরকে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করা হয়। • সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করা হয়।
  • জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীসেবা ও সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনের সম্প্রসারণ ও ২টি নতুন বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন করা হয়।
  • জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো চলাচলের সুবিধা প্রসারের লক্ষ্যে কার্গো ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেয়া হতে থাকে।
  • বগুড়া ও বাগেরহাট বিমানবন্দরের নির্মাণ কাজ ছিল সমাপ্তির পথে।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

  • ১৯৯৯ সালের জুন মাসে ঢাকা-কোলকাতা বাস সার্ভিস চালু করা হয়।
  • ২০০০-২০০১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
  • সড়ক পথে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের জন্য সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ট্রায়াঙ্গল প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
  • বিআরটিসি সিটি সার্ভিস, সিটি সার্কুলার, সিটি লিংক সার্ভিস এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নির্দেশে মহিলা বাস সার্ভিস প্রবর্তন হয়। টুরিস্ট বাস সার্ভিস এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপারের জন্য বিশেষ টুরিস্ট বাস সার্ভিস চালু করা হয়।
  • উপমহাদেশে সর্বপ্রথম পাঁচটি ভেহিক্যাল ইন্সপেকশন সেন্টার স্থাপন করা হয়।
  • ৬০৯.৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মেইন লাইনসমূহের পুনর্বাসনের কাজ অগ্রসর হতে থাকে।
  • বেনাপোল স্থলবন্দরে যানজট নিরসন এবং সুষ্ঠুভাবে মালামাল হ্যান্ডলিং করার জন্য বন্দরে পৃথক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়।
  • বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ১০০ লাখ ঘন মিটার ড্রেজিং করা হয়।অভ্যন্তরীণ নৌ-পথের চলাচল নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে বন্দর বা দপ্তরের সাথে বিভিন্ন নৌকাে মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ রক্ষা করা, নৌযানসমূহের অবস্থান জানা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও বিপদসঙ্কেত প্রদানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়।
  • ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুতল বিশিষ্ট কারপার্ক নির্মাণের কাজ আসর হতে থাকে।

 

 সড়কপথ, জলপথ ও বিমানপথের উন্নয়ন

 

  • ২০০১ সালে ঢাকায় যে ন্যাম সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল, সে উপলক্ষে বিমানবন্দরে রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে মেরামত, দুটি বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণ, বোর্ডিং ব্রিজ সংলগ্ন হোল্ডিং লাউঞ্জ নির্মাণ এবং অ্যাপ্রোন সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
  • বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অধিকতর যাতায়াত ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে দুটি দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ক্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করা হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment