[ADINSERTER AMP] [ADINSERTER AMP]

প্রতিরক্ষা লাইন

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ প্রতিরক্ষা লাইন। যা ” দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- এ এ কে নিয়াজি” বইয়ের অংশ।

প্রতিরক্ষা লাইন

 

প্রতিরক্ষা লাইন

 

প্রতিরক্ষা লাইন

ভারতীয়রা আমার প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে এবং বলছে যে, ঢাকা ত্রিভুজে আমার সৈন্য প্রত্যাহার করা উচিত ছিল। মেজর জেনারেল ফজল মুকিম ও ফরমান ভারতীয়দের এ যুক্তি সমর্থন করেছেন।

ফরমান তার বই ‘হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড’-এর ১১৩ পৃষ্ঠায় স্ববিরোধিতার পরিচয় দিয়েছেন এবং লিখেছেন, ‘তিনটি প্রতিরক্ষা ব্যূহ ছিল।’ তিনি আরো লিখেছেন, ‘নদ-নদীর প্রতিবন্ধকতা পর্যন্ত এগিয়ে গিয়ে সৈন্য মোতায়েনের মাধ্যমে মধ্যবর্তী বৃত্তাকার প্রতিরক্ষা লাইন ও নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে ভালোভাবে রক্ষা করা যেতো। এরপর শত্রুর অগ্রাভিযানে বিলম্ব ঘটিয়ে ঢাকার নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা অবস্থানে পিছু হটে আসা যেতো।”

কমান্ডারদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্বের ওপর সৈন্য মোতায়েন নির্ভর করছে। কিন্তু জেনারেল ফরমান আলী আমাদের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সম্পর্কে সমালোচনার সময় এ বিষয়টি বিবেচনায় আনেন নি। ফরমেশনগুলোকে তাদের অপারেশনের সীমানা নির্ধারণ করে দিতে হয়।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রয়োজন হলে অগ্রবর্তী প্রতিরক্ষা অবস্থানের (এফডিএল) সীমানাও চিহ্নিত করতে হয়। শত্রুদের অগ্রযাত্রায় বিলম্ব ঘটানোতে আমার পরিকল্পনা সফল হয় এবং যশোর ছাড়া অন্যান্য শহর পরিত্যাগ না করেই আমরা শত্রুদের আটকে ফেলি অথবা থামিয়ে দিই। ফরমানের মধ্যবর্তী প্রতিরক্ষা লাইন এবং আমার শক্ত প্রতিরক্ষা লাইনের মধ্যে কোনো বড়ো ধরনের পার্থক্য নেই।

ঢাকা বৃত্ত সম্পর্কে ফরমান মেজর জেনারেল ফরমান তার বইয়ে লিখেছেন :

“একজন পূর্ব পাকিস্তানির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে আমরা দেখবো যে, এ প্রতিরক্ষা ধারণা ভয়াবহ যেখানে একজনকে একটি বিরাট অংশ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের একটি ব্যাপক অংশ শত্রুর কাছে সমর্পণ করতে হবে। বিশুদ্ধ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও এ ধারণা সঠিক যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের জীবন, বাড়িঘর এবং মহিলাদের সম্ভ্রম পশ্চিম পাকিস্তানিদের মতোই পবিত্র।

এখানে তিনি বুঝতে পারলেন যে, সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং ঢাকা ত্রিভুজ রক্ষায় তার নিজের মতবাদ নীতিগতভাবে অগ্রণযোগ্য। এ কথা স্বীকার করেও তিনি নির্লজ্জের মতো তার ধারণাকে সমর্থন করছেন।

একটি বিশেষ সময় অস্ত্রশস্ত্র, সৈন্যবল, বিমান ও নৌ শক্তিতে অধিকতর শক্তিশালী এবং স্থানীয় জনগণের সমর্থনপুষ্ট শত্রুর মুখে সৈন্য প্রত্যাহার করা খুবই কঠিন কাজ। জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের নির্দেশ আসতে হতো।

 

 

প্রতিরক্ষা লাইন

 

২১ নভেম্বর ভারতীয় হামলা শুরু হওয়ার পর সৈন্য প্রত্যাহার অসম্ভব হয়ে ওঠে। কারণ, সৈন্যরা তখন ব্যস্ত ছিল যুদ্ধে। বিপরীতক্রমে, শান্তিকালীন পরিস্থিতিতেও কোনো প্রকার বাধা ছাড়া রাজশাহী থেকে একটি ডিভিশনকে সকল সাজ-রঞ্জাম ও অস্ত্রশস্ত্রসহ ঢাকায় প্রত্যাহারে সময় লাগতো ১৫ থেকে ২০ দিন।

আরও দেখুন:

Leave a Comment