আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ জিয়ার ক্ষমতা দখল। যা ” দ্য বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান- এ এ কে নিয়াজি” বইয়ের অংশ।
জিয়ার ক্ষমতা দখল
জিয়ার ক্ষমতা দখল
এরই মধ্যে জেনারেল জিয়াউল হক কক্ষমতা দখল কনের। আমি ছাড়া সকল রাজবন্দি মুক্তি পান, সামরিক আইন জারি করা হলে । কয়েকদিন পর একজন সেনা কর্মকর্তা আমার সাথে দেখা করতে আসেন। তিনি আমাকে বলেন, ‘প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল জিয়াউল হক নির্দেশ নিয়েছেন যে, আপনাকে মুক্তি দানের আগে তিনি আপনার কাছ থেকে এ মুচলেকা চান যে, আপনি আর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন না।’
আমি বললাম, ‘বৎস, আমার তো কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই এবং আমি রাজনীতি বুঝি না। আমি কারাগারে এসে দেখতে পাচ্ছি যে, আমি রাজনীতির কানাকড়িও জানি না। আমি উৎপীড়ক জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে জনগণকে সাহায্য করার জন্য রাজনীতিতে যোগদান করেছি।

তার পতন ঘটেছে এবং রাজনীতিতে আমার আর কোনো আগ্রহ নেই। তবে সরকারকে মুচলেকা দানের ব্যাপারে আমার জবাব হচ্ছে “না”। এটা আমার নীতিবিরুদ্ধ। আমার যা পছন্দ আমি তাই করি এবং আমার ওপর কারো খবরদারি আমি মেনে নেব না জিয়াউল হকের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমাকে কারাগারে পড়ে থাকতে হয়। আমাকে শুকুর কারাগার থেকে লাহোরে গৃহবন্দি অবস্থায় স্থানান্তর করা হয়।
জিয়াউল হক বললেন, ‘জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা রুজু করা হলে আপনি কি তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন?’ আমি বললাম, ‘তাকে মুক্তি দেওয়া হলে সাক্ষ্য দেবো। নয়তো না। কেউ আমার পরম শত্রু হলেও তার পিঠে ছুরি মারার নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই।’
জিয়াউল হকের সাথে দ্বিমত হওয়ার তার আমলে আমাকে আরো ৬ মাস কারাগারে থাকতে হয়। জুলফিকার আলী ভুট্টোর আমলে ছিলাম তিন মাস। জিয়াউল হকের আমলে তিন মাস ছিলাম কারাগারে এবং বাকি তিন মাস গৃহবন্দি।
আরও দেখুন: