আমাদের আজকের আলোচনা বিষয় –কৃষি ঋণ, ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল এর একটি অংশ।
কৃষি ঋণ, ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উৎপাদনে ক্রমাবনতি, ফসলের দামের নিম্নগতি ইত্যাদি অর্থনৈতিক কারণে চাষী আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে। এমতাবস্থায়-
- সময় মত কুকের প্রয়োজন অনুযায়ী কৃষি ঋণ তার কাছে পৌঁছানোর ব্যর্থতার দরুন কষি ঋণ বন্টনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং তার ফলে কৃষকের হয়রানির সীমা থাকে না। তা ছাড়া ঋণ বন্টনের ব্যাপারে সামাজিক প্রতিপত্তি বা অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে কষি ঋণের বৃহদাংশ একটি শ্রেণীর কুক্ষিগত হওয়ার ণ্টন ব্যবস্থার পরিলক্ষিত হচ্ছে। ঋণ যাতে প্রতিটি চাষী, বিশেষ করে প্রান্তিক চাষী ও বর্গাদারদের ন্যায্য চাহিদা মেটাতে পারে তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে।
- পর টাকা পর্যন্ত বিদ্যমান ক স মওকুফ এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষি ঋণের সুদ মও করে নির্দিষ্ট সমর মধ্যে সকল বকেয়া ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ক্ষতি সাশ্রয়ের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানিক দল গঠন করা হবে।
- ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করার মাধ্যমে ভূমির মালিকের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা বিধান করে তাকে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা হবে।

ভূমি সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধন, গ্রামীণ দারিদ্র্যের অবসান এবং সম্পদ ও আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা সম্ভব। যেহেতু বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের সিংহভাগ জনসংখ্যা ভূমিহীন বা প্রান্তিক ভাষীয় দলে এবং এদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ জন্য ভূমি সংস্কারের আবশ্যকতা ও প্রাসংগিকতা অপরিহার্য।
ভূমি সংস্কারের লক্ষ্য চারটি :
(১) কৃষি উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার বৃদ্ধি;
(২) আয়ের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা;
(৩) ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা ।
এই ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে :
ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন ও বিধি পর্যালোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত সংস্কার ও পরিবর্তন সাধন; * সরকারী খাস জমি ভূমিহীনদের মধ্যে গৃহীতব্য নীতিমালা অনুযায়ী বণ্টনের ব্যবস্থা;
ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দক্ষ, উন্নত, দুর্নীতিমুক্ত ও যুগোপযোগী করে পুনর্গঠন, যাতে ভূমি সংস্কার কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
আরও দেখুনঃ